শনিবার, ১৬ অগাস্ট ২০২৫, ১২:০৬ অপরাহ্ন

চালু হলো মোবাইল ইন্টারনেট সেবা

চালু হলো মোবাইল ইন্টারনেট সেবা

অনলাইন প্রতিবেদক:: ১০ দিন পর সারাদেশে চালু হলো মোবাইলে ফোরজি ইন্টারনেট সেবা।

রোববার (২৮ জুলাই) বিকেল ৩টায় সারাদেশে ফোর-জি ইন্টারনেট সেবা সচল হয়।

তবে দেশে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত সামাজিক মাধ্যম ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ, বাইটড্যান্সের প্ল্যাটফর্ম টিকটক বন্ধ থাকবে। এ ছাড়া ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট–সেবায় ইউটিউব দেখা গেলেও মোবাইল ইন্টারনেট–সেবায় ইউটিউব দেখা যাবে না।

আজ সকালে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) কার্যালয়ে এক ব্রিফিং টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, মেয়াদ শেষ হওয়া অব্যহৃত ৫ জিবি মোবাইল ডাটা ৩ দিনের মেয়াদে বোনাস হিসেবে ব্যবহারের সুযোগ পাবেন গ্রাহকরা।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ কখনোই ইন্টারনেট থেকে বিচ্ছিন্ন হয়নি। কেপিআইগুলোতে ইন্টারনেট ছিল না। আমরা কোনও অ্যাপ বন্ধ রাখার পক্ষে নই। বিশ্বের মোড়লরাই এসব করে।
গতকাল ফেসবুক-টিকটক ও অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়াকে চিঠি পাঠানো হয়েছে। চিঠিতে তাদের জবাব দিতে ৩০ জুলাই পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়েছে।

দেশের সংবিধান ও আইন না মানায় এই চিঠি পাঠানো হয়েছে জানিয়ে পলক বলেন, আমরা যে কন্টেন্টগুলো মুছতে বলেছি তার খুব কমই তারা মুছেছে। উগ্রপন্থিদের পেজ চালু থাকলেও আওয়ামী লীগ সমর্থিত ৫০টি পেজ টেকডাউন করে দিয়েছে।

এর আগে, কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্ল্যাটফর্ম বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচিতে দেশজুড়ে সংঘাত-সহিংসতা ছড়িয়ে পড়লে গত ১৭ জুলাই মোবাইল ইন্টারনেট সেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়।

পরিস্থিতির আরও অবনতি হলে পরদিন রাতে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট পরিষেবাও বন্ধ হয়ে যায়।

সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়, সেদিন মহাখালীর দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ভবনে আগুন দেওয়া হলে ক্ষতিগ্রস্ত হয় সড়কের ওপর থাকা ইন্টারনেট সেবাদাতা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের তার। ক্ষতিগ্রস্ত হয় কয়েকটি ডেটা সেন্টারও। সে কারণেই সারাদেশে ইন্টারনেট সেবা বন্ধ হয়ে যায় বলে প্রতিমন্ত্রীর ভাষ্য।

মোবাইল ও ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট বন্ধ হয়ে যাওয়ায় মোবাইলে আর্থিক লেনদেন, বিদ্যুৎ-গ্যাসের প্রিপেইড কার্ড রিচার্জ নিয়ে চরম ভোগান্তিতে পড়েন গ্রাহকরা। কোথাও কোথাও ব্যাংকের এটিএম বুথও বন্ধ হয়ে যায়।

ইন্টারনেট না থাকায় স্থবির হয়ে পড়ে ই-কমার্স, পোশাক খাতসহ বিভিন্ন ব্যবসা-বাণিজ্য, বন্ধ থাকে বন্দরের কার্যক্রম। ইন্টারনেটভিত্তিক সব ধরনের সংবাদ সেবাও অচল হয়ে পড়ে।

সারাদেশে কারফিউ জারি ও সেনা মোতায়েনের পর ধীরে ধীরে পরিস্থিতি শান্ত হতে থাকে। ২২ জুলাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠক করেন ব্যবসায়ীরা। সেখানে তারা ব্যবসা-বাণিজ্যে স্বাভাবিকতা ফিরিয়ে আনতে দ্রুত ইন্টারনেটা সেবা চালুর ব্যবস্থা করার আহ্বান জানান।

এরপর ২৩ জুলাই রাতে অগ্রাধিকার বিবেচনা করে সীমিত পরিসরে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট পরিষেবা ফেরে। পরদিন রাতে সারা দেশে বাসাবাড়িতেও ব্রন্ডব্যান্ড ইন্টারনেট পরিষেবা সচল হয়।

সংবাদটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2024  Ekusharkantho.com
Technical Helped by Curlhost.com